পাবনা প্রতিনিধি : ৫৪তম মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে
1 min readপাবনায় শেখ মুজিবের বক্তব্য মাইকে বাজানো, আ.লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে বনভোজনের আয়োজন করার অভিযোগে মোস্তফা আলী খান ওরফে মোস্তবালি (৪৫) নামের ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার( ১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে পাবনা সদরের চরতারাপুর ইউনিয়নের টাটিপাড়ায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়। আটককৃত মোস্তফা আলী খান চরতারাপুর ইউনিয়নের টাটিপাড়া গ্রামের চয়েন আলী খানের ছেলে। তিনি চরতারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান থেকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী সভাপতির দায়িত্বেও রয়েছেন তিনি।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ইউনিয়নের টাটিপাড়া মুজিব বাঁধের উপর ৩/৪শ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের জন্য কয়েক ডেকচি খিচুড়ি রান্না করা হয়। সেখানে শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণও বাজানো হয়এবং নাশকতার উদ্যেশে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন বিষয়ে প্রচার-প্রচারণা করা হয়। এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ অভিযানে যায়। পুলিশ আসার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী দ্রুত সটকে পড়েন। এরপর সোমবার দুপুরের দিকে সদর থানা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) মো: ইব্রাহিমের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে প্যানেল চেয়ারম্যানকে আটক করা হয়।
এরপর গত ৪ আগষ্ট পাবনা শহরের আব্দুল হামিদ রোডে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলি করে দুইজন শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়। সেই হত্যাকান্ডের ঘটনায় বৈষম্য বিরোধী দুটি মামলা দায়ের হয়। আজ বিকেলে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হস্তান্তর করা হয়।
পাবনা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন, রাতে মাইকে শেখ মুজিবের ভাষণ বাজানো হচ্ছিল। বেশ কিছু আওয়ামী লীগের লোকজন দলীয় প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছিল, এমন অভিযোগে আমরা তাকে আটক করি। এরপর বৈষম্য বিরোধী মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করি।
উল্লেখ্য: গত ৫ আগষ্টে শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকার ভারতে পালিয়ে যায়। এরপর চরতারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত না থাকায় সরকারের পক্ষ থেকে ইউপি সদস্য প্যানেল চেয়ারম্যান মোস্তফা আলী খানকে পুর্নাঙ্গ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।