পাবিপ্রবিতে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ সাইদ চেয়ারম্যানের আস্থাভাজন ড. কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে!
1 min readপাবনা প্রতিনিধি : বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. হাফিজা খাতুনও পদত্যাগ করেন। তার পদত্যাগের পর দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান ও গত সরকার আমলের নিযুক্ত পরিবহন প্রশাসক ড. মো. কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে। গত সরকারের আমলে বেশ সুবিধাভোগী হয়েও বিএনপি-জামায়াতপন্থি দাবি করে বর্তমান সময়ে নতুনদের দায়িত্ব গ্রহণে বাধা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের শীর্ষ পদে নিজেকে এবং তার আস্থাভাজনদের বসানোর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছেন, পাবিপ্রবির উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার, প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা পদত্যাগ করলেও বহাল তবিয়তে রয়েছেন একই সময়ের নিয়োগপ্রাপ্ত পরিবহন প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান। তিনি পাবনায় দুই ছাত্র গুলি করে হত্যা মামলার সরাসরি ছাত্রদের দ্বারা অভিযুক্ত পাবনার ভাড়ারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খানের খুবই আস্থাভাজন! সাঈদ চেয়ারম্যানের ছোট ভাই পাবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুনুর রশিদ ডনের সঙ্গে তার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। সেই সখ্যতার বদলৌতে আওয়ামী সরকারের আমলে ড.কামরুজ্জামান প্রক্টর ও পরিবহন প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেছেন। সরকার পতনের পর জামাতী লেবাস লাগিয়ে প্রক্টর হওয়ার জোর প্রচেষ্টাও চালান তিনি। কিন্তু তাকে করা হয় পরিবহন প্রশাসক। তাকে বাদ দিয়ে দুই দফায় দুইজনকে প্রক্টরের দায়িত্ব দেয়া হলেও কামরুজ্জামানের হুমকি ও বাধাতে কেউ দায়িত্ব নিতে সাহস পাচ্ছেন না। সর্বশেষ নবনিযুক্ত প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টাও পদত্যাগ করেছেন। কেউ তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলতে সাহস করছেন না। বিষয়টি বর্তমানে ‘টক অফ দ্যা ইউনিভার্সিটি’ কামরুজ্জামান হিসেবে চালু আছে।!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান, নিজ এলাকার লোক হওয়ার সুবাদে আবু সাঈদ চেয়ারম্যানের সাথে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জেরে আওয়ামী আমলে বিশ্ববিদ্যালয়ে দাপট দেখিয়ে চলতেন কামরুজ্জামান। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে হাসিনার পতনের পর পুনরায় বিএনপি-জামায়াত ঘেষা হয়ে উঠেছেন তিনি। হাসিনা সরকারের নানা সুবিধাভোগী তিনি। আওয়ামীলীগের সাথে আঁতাত করে চলতেন তিনি, এখন বিএনপি-জামায়াত ঘেষা হয়ে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,কর্মকর্তা, শিক্ষার্থীদের জন্য ভীতির কারণ সৃষ্টি করেছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ড.কামরুজ্জামান বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। যারা দায়িত্ব পেয়েছিলেন তারা সবাই আমার সহকর্মী। তাদেরকে আমি ইয়ে (হুমকি-বাধা) করতে পারি? এটা সম্ভব না। আর আবু সাঈদ চেয়ারম্যান আমার এলাকার লোক, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের সময় হয়তো কেউ ছবি তুলতে পারে কিন্তু তার সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।