বিদ্যূতের লাগামহীন লোডশেডিংয়ে পাবনার জনজীবন বিপর্য্স্ত !
1 min readআবুল কালাম আজাদ, পাবনা : একদিকে অসহনীয় প্রচন্ড গরম অন্যদিকে বিদ্যুতের লাগামহীন লোড শেডিংয়ে পাবনার বাসাবাড়ি, শিল্প প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানসহ পারিবারিক জনজীবন বিপর্য্স্ত হয়ে পড়েছে।দিনে ৫/৬ বার করে বিদ্যুত যাওয়াতে পাবনার ব্যবসায়ী সমাজ, ছাত্রসমাজ ও শিশুসহ সকল শ্রেণির মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
বেশ কিছুদিন হলো পাবনার বিদ্যুত বিভাগে চরম লোডশেডিং কাজ করছে। বিদ্যুত বিভাগ সুত্রে জানা যায়, পাবনায় প্রতিদিন ১২০ মেঘাওয়াট বিদ্যূতের প্রয়োজন হয়। সেখানে পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পক্ষ থেকে ৮১ মেঘাওয়াট বিদ্যূত বিতরণ করা হয়। এই বিদ্যূতের মধ্যে ভাঙ্গুড়া উপজেলারে সাব স্টেশনে ০৬ মেঘাওয়াট, নেসকো বাংলাদেশ পাবনাকে ৩৮ মেঘাওয়াট এবং পল্লীবিদ্যুত সমিতিকে ৩৭ মেঘাওয়াট বিদ্যূত ভোগ করে দেওয়া হয়। বিদ্যূতের চরম বিতরণ ঘাটতিতে লোডশেডিং দেখা দিয়েছে পাবনা শহর ও এর আশেপাশের এলাকাতে । লোডশেডিংয়ের কারণে পাবনার বিভিন্ন বিদ্যূতচালিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কারখানা পারিবারিক জীবন অচল হয়ে পড়েছে। দিনে ৫ থেকে ৬ বার বিদ্যুত যায়। রাতে কখনো গেলে ২ থেকে আড়াই ঘন্টার আগে আসে না। এতে বিপাকে পড়েছেন শিশু, বয়:বৃদ্ধ এবং অসুস্থ ব্যক্তিরা। পাবনা শহরের শ্যামলী ষ্টুডিওর মালিক মনোজ কুমার সরকার জানান, বিদ্যূত বিভ্রাটের জন্য তারা ঠিকমত ব্যবসা করতে পারছেন না। কাষ্টমারদের কাজ ঠিকমত দিতে না পারায় সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে। সদর উপজেলার চকউগ্রগড় গ্রামের বিষ্ণু পদ হোড় জানান, বিদ্যূত আসে কম, যায়ই বেশি সময় ধরে। এরকম ভেলকিবাজিতে তার বৈদুতিক মিটারসহ কিছু সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে বেশ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন। শহর এবং গ্রামের কিছু কিছু সামর্থবান লোকেরা বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে আইপিএস ব্যবহার করলেও বিদ্যুত না থাকায় আইপিএসও চার্জ হচ্ছে না। এতেও বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের।
তবে কি কারণে এত লোডশেডিং হচ্ছে এবিষয়ে বিদ্যূত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও গ্রীড ইনচার্জসহ একাধিক উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেও তাদের মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি।
তবে গ্রাহকদের দাবী সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের উধ্বতন কর্মকর্তারা অতিসত্বর বিদ্যুতের বিষয়ে তড়িৎ ব্যবস্থা নিয়ে বিদ্যূত সঞ্চালন স্বাভাবিক করে জনজীবনে স্বস্তি আনবেন।