নতুন পেকিন জাতের হাঁস পালন করে লাভবান পাবনার খামারী ছবি !
1 min readক্ষুদিরাম : বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা পিকেএসএফ’র সহযোগিতায় ও জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় সম্পূর্ণ নতুন পেকিন জাতের হাঁস পালন করে স্বল্প সময়ে বেশী লাভবান হচ্ছেন পাবনার ঈম্বরদী উপজেলার ডিগ্রিপাড়া কালিকাপুর গ্রামের খামারী ফারহানা আক্তার ছবি(৩৫)।
খামারী ফারহানা আক্তার ছবি ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের ডিগ্রিপাড়া কালিকাপুর গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের মেয়ে। কৃষিতে ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেও চাকরীর পেছনে না ঘুরে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা পিকেএসএফ ও জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় হাঁস পালনে আগ্রহী হয়ে উঠেন ফারহানা আক্তার ছবি। তাদের আর্থিক ও কারিগরী সহযোগিতায় সম্পূর্ণ নতুন জাতের সুস্বাদু ও অধিক মাংস উৎপাদনশীল পেকিন জাতের হাঁস পালন শুরু করেন। প্রথমে তিনি ১৯ হাজার টাকা দিয়ে ২’শ পেকিন জাতের হাঁসের বাচ্চা তোলেন তার খামারে। এক একটি বাচ্চা কিনেন ৯৫ টাকা দিয়ে। মাত্র ৪৫ দিনে তার খাদ্য, ঔষুধসহ খামারের সকল খরচ হয় ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা। এখন তার খামারের প্রতিটা হাঁসের ওজন ৩ থেকে ৪ কেজি। বাজারে প্রতি কেজি হাঁস বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা থেকে ২৭০টাকায়। বর্তমান বাজার দরে তিনি এই হাঁস বিক্রি করছেন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। তাতে তার লাভ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। স্বল্প সময়ে(৪৫ দিনে) এত পরিমান লাভ হওয়ায় তিনি খুব খুশি। তার দেখাদেখি আশেপাশের অনেকেই এই জাতের হাঁস পালনে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
খামারী ফারহানা আক্তার ছবি জানান, বেকার হয়ে বসে না থেকে তার মত হাঁস পালন করলেও বেশ লাভবান হবেন। ৪৫ দিনে ৬০/৭০ হাজার টাকা বাড়িতে বসে ইনকাম করা কম নয়। তিনি খুবই খুশি। তাই বেকার যুবকেরা নিজস্ব খামার তৈরি করে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি।
জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের পাবনা জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: মাইদুল ইসলাম জানান, নতুন জাতের সুস্বাদু ও মাংস উৎপাদনশীল পেকিন জাতের হাঁস পালন খুবই লাভজনক। মাত্র ৪৫ দিনে ৭০ হাজার টাকা আয় করেছেন উদ্যোক্তা ফারহানা আক্তার ছবি।
জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের পাবনা জেলার জোনাল ম্যানেজার মো: মাহবুবুল হক জানান, বেকারত্ব ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নে জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তারা কৃষি, মৎস্য, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন সেক্টরে অবহেলিত মানুষদের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। হাঁস মুরগী, গোবাদি পশু ও মাছ চাষ করে অনেকেই লাভবান ও সমাজে স্বাবলম্বী হয়েছেন।