Runner Protidin

সত্য প্রকাশে অবিচল

এটাই আমার লাস্ট বিসিএস, আমি মরে যাবো ভাই….. ফাহাদ

1 min read

রাজশাহী সংবাদদাতা : ৪৬ বিসিএসের প্রিলিমিনারী পরীক্ষা শুরু সকাল ১০টায়, আর আধা ঘণ্টা আগে কেন্দ্রে ঢুকতে হবে পরীক্ষার্থীকে। নওগাঁ থেকে রাজশাহী পৌঁছে ফাহাদ ফয়সাল যখন কেন্দ্রের সামনে তখন ৯টা ৪০ মিনিটে। পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রধান ফটক বন্ধ। তিনি গেটে পুলিশ সদস্যদের অনুরোধ করেন তাঁকে ভেতরে ঢোকানোর জন্য; কিন্তু তারা রাজি নয়। ফটক টপকে ফাহাদ ভেতরে ঢুকলে পুলিশ তাকে বের করে আনে। এ সময় ফাহাদ রাস্তায় মাথা ঠুকে আহাজারি করে বলতে থাকেন, ‘এটা আমার লাস্ট বিসিএস। আমাকে মেরে ফেলেন ভাই।’

ঘটনাটি ঘটে আজ শুক্রবার ৪৬ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার রাজশাহীর মসজিদ মিশন একাডেমি কেন্দ্রে।

সকাল ৯টা ৪২ মিনিটে মসজিদ মিশন একাডেমির সামনে দেখা যায়, ফাহাদ প্রধান ফটক টপকে ভেতরে ঢুকছেন। তিনি ভেতরে ঢুকে যাওয়ার পর দুজন পুলিশ তাকে ধরে ফেলেন। এ সময় ফটকের বাইরে থেকে এক নারী ‘ঢুকতে দেন প্লিজ’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। পুলিশ বের করে দেওয়ার পর কাঁদতে কাঁদতে ফাহাদ রাস্তায় শুয়ে বলেন থাকেন–‘এটা আমার লাস্ট বিসিএস ছিল। আমাকে মেরে ফেলেন ভাই।’ এ সময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

তখন একজন পুলিশ সদস্য এসে তাকে বলেন, ‘এই ভাই, ওঠেন।’ পরে উঠে ফাহাদ প্রধান ফটকের কাছে পড়ে থাকা কলম আর প্রবেশপত্র নিতে আসেন। আবারও তিনি রাস্তায় হাত আর মাথা ঠুকতে থাকেন। ফাহাদ বলেন, ‘আমি মরে যাব। আমি মরে যাব। আমার লাস্ট বিসিএস ছিল এটা।’

পরে এক ব্যক্তি ফাহাদকে ভেতরে ঢোকানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু পুলিশের বাধায় ব্যর্থ হন। একই সময় কেন্দ্রের সামনে অভিভাবকেরা বলেন, ‘পরীক্ষা তো এখনো শুরু হয়নি। ছেলেটাকে ঢুকতে দেওয়া উচিত ছিল।’ কিছুক্ষণ পরে ফাহাদ সেখান থেকে চলে যান। ফাহাদের নিবন্ধন নম্বর ছিল-১২০২৬০০২।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *