পাবনাযর সুজানগরে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা!
1 min readক্ষুদিরাম : পাবনা জেলার সুজানগরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ও এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আল আমিন মিয়া (৩৮) কে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে উপজেলার রানিনগর ইউনিয়নের রানিনগর ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় সন্ধা সাড়ে ৭ টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত আল আমিন রানিনগর ইউনিয়নের মৃত মৃত শহিদুর রহমান মিয়ার ছেলে। তিনি রানিনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ধাপের গত (০৯ মে) সুজানগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব ও সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকদের মধ্যে রানিনগরে বেশ কিছুদিন ধরে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর আগে কয়েকবার তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।
এরই সূত্র ধরে আজকে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে যুবলীগ নেতা (শাহীনুজ্জামান শাহীন গ্রুপের) আল আমিন তার এক আত্মীয় বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে মোটরসাইকেলযোগে নিজ বাড়িতে আসছিলেন। পথিমধ্যে রানিনগর ক্লাবের সামনে পৌঁছালে পুর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তার গতিরোধ করে এবং মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। স্থানীয়রা গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে তাকে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। রাজশাহী নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর সংবাদে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সুজানগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার রাজু আহমেদ বলেন, আল আমিন রানিনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য। নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।
আমিনপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুর্ব শক্রুতা ও এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছেন । তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলতে পারবো। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দোষীদের গ্রেপ্তার করা হবে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।