Runner Protidin

সত্য প্রকাশে অবিচল

শেখ মুজিব ৭৫ সালে মরে নাই, তার মৃত্যু এবারই হলো ২৪ সালে ছাত্র -জনতার আন্দোলনে……..পাবনায় টিপু বিশ্বাস

1 min read
Oplus_131072

আবুল কালাম আজাদ : শেখ মুজিব ৭৫ সালে মরে নাই, তার মৃত্যু এবারই হলো ২৪ সালে ছাত্র -জনতার আন্দোলনে। ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা তার বাপ মুজিবকে মেরেছে দেশের জনগনণকে মেরে অবশেষে ১৬ বছর নির্মম শাসন লুটপাট করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। তার শাসনামলে গোটা দেশকে কারাগার বানিয়ে গুম, খুন ও আয়নাঘরের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে নির্যাতন চালিয়েছিল। জাতীয় গণফ্রন্টের ডাকে পাবনায় এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় গণফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস এসব কথা বলেন।
রবিবার বিকেলে পাবনা শহরে বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল মুক্তমঞ্চে আয়োজিত জনসভায় তিনি একথা বলেন।
জাতীয় গণফ্রন্ট পাবনা জেলার সমন্বয়ক হাসিবুর রহমান হাসুর সভাপতিত্বে ও আব্দুস শুকুরের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন, জাতীয় কৃষক খেতমুজুর সমিতির জেলা কমিটির সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন, গণতান্ত্রিক শ্রমিক ফেডারেশনের জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক আব্দুল কৃদ্দুস, ওহিদুজ্জামান ও বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর কেন্দ্রীয় নেতা অন্তর হোসেন প্রমুখ।
প্রধান অতিথি টিপু বিশ্বাস বলেন, তারা বিগত ১৬ বছর ধরেই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে গেছেন। অবশেষে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিবাদের পতন হলো। ৫২, ৬৯ , ২৪ সালের আন্দোলনে অনেকেই জীবন দিয়েছেন। জনগনের অধিকার আদায় কখনই ত্যাগ ছাড়া হয়না। ৭১’এ লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন দিয়ে বাঙ্গালী জাতি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছে কিন্তু জনগনের সত্যিকারের অধিকার বাস্তবায়িত হয়নি। তিনি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন ইউনুস সরকারের সমালোচনা করে বলেন, তারা এ সরকারকে সমর্থন করেন কিন্তু এটা জনগনের সরকার নয়। স্বল্প সময়ের সরকার। সংবিধান বিষয়ে কথা বলতেই তিনি আরো বলেন, ৭২ স্বালে স্বাধীন দেশের একটি সংবিধান রচনার জন্য সংবিধান সভার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তারা তা না করেই ইচ্ছামতো সংবিধান রচনা করেছেন। তাই তারা সেটা না মেনে নতুন সংবিধানের দাবী করেন। তিনি এই সরকারকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনের জন্য সিন্ডিকেট ভাঙারও আহবান জানান।
দেশে বারবার সরকার পরিবর্তন হলেও দেশের মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। উন্নয়ন হয়েছে লুটপাটের। বিনা ভোটের ফ্যাসিবাদ সরকার প্রশাসনযন্ত্র পুলিশ, র‌্যাব, মিলিটারী দিয়ে শুধু মানুষকে শোষন করেছে।
৭১ সালে তারা যখন পাক হানাদারদের সাথে যুদ্ধ করেছিলেন শেখ মুজিব ইচ্ছাকৃত পাকিস্তানী আর্মিদের কাছে আত্মসমর্পন করে পাকিস্তানী কারাগারে শান্তিতে ছিলেন। এ্টা জাতির সাথে চরম বেঈমানী করেছেন তিনি। স্বাধীনতার যুদ্ধে এত মানুষ জীবন দিলেও আওয়ামীলীগের প্রথম সারির কোন নেতা জীবন দেননি।
জনগণের অভূত্থানের মাধ্যমেই আবার জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। সেখানে কোনো বেকার থাকবে না। বেকার থাকলেও তাদের ভাতা দেওয়া হবে। কৃষক শ্রমিক জনতা তাদের ন্যায্য অধিকার পাবেন।
অভূত্থানের পর কোনো সংবিধান থাকেনা। তাই বর্তমান সংবিধানে কিভাবে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু থাকেন এ নিয়ে তিনি প্রশ্ন করেন। তিনি অবিলম্বে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর অপসারণ ও গ্রেফতারের দাবী জানান।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *