চাঁদপুরে কাস্টমার ডাকাকে কেন্দ্র করে দুই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর মধ্যে সংঘর্ষ
1 min readচাঁদপুর সংবাদদাতা : চাঁদপুর শহরে সোনাপট্টিতে কাস্টমার ডাকাকে কেন্দ্র করে দুই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর মধ্যে মারামারিতে উভয় পক্ষের ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছে। ২৪ এপ্রিল বুধবার দুপুরে চাঁদপুর শহরের চিত্রলেখা মোড়স্থ আব্দুল করিম পাটোয়ারী সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এমন ঘটনার খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ও চাঁদপুর নতুন বাজার ফাঁড়ি পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
আহতরা হলেন, স্বর্ণ বিতানের জামিল আহমেদ রিপন (৩৮), জাফর (৪২), নোলক জুয়েলার্সের সাদেক হোসেন হৃদয় (২৮), বিসমিল্লাহ গিনি গোল্ড জুয়েলার্সের সত্বাধিকারী শান্ত ইসলাম (২৬) ও তার ভাই শেখ মোঃ বিল্লাল হোসেন (৩০) ও দাসদী গ্রামের জাহাঙ্গীর খানের স্ত্রী শারমিন আক্তার (৩২)। তারা বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত শান্ত ইসলাম ও তার ভাই শেখ মোঃ বিল্লাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে চিত্রলেখা মোড়ে স্বর্ণ ব্যবসা করে আসছেন। এই ব্যবসার সুবাদে তাদের পার্শ্ববর্তী দোকানদার স্বর্ণ বিতানের লোকজন প্রায়ই তাদের দোকানে আসা কাস্টমারদের ডেকে নিয়ে যায়। ঘটনার দিন একই ভাবে এক নারী কাস্টমার তাদের বিসমিল্লাহ গিনি গোল্ড জুয়েলার্সে স্বর্ণ বিক্রি করতে আসলে, পাশের দোকান স্বর্ণ বিতানের রিপন ও জামিল সেই নারী কাস্টমারকে ডেকে তাদের দোকানে যেতে বলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের উভয় পক্ষের মধ্যে প্রথমে ঝগড়া হয়। তাদের অভিযোগ এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে জুয়েলার্স সমিতির সভাপতি ফুলমিয়ার নেতৃত্বে দা, ছেনি, রড, লাঠি সোটা নিয়ে প্রায় ১৫/২০ জনের একটি দল তাদের দুই ভাইয়ের ওপর হামলা চালায়। তবে স্থানীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের এ কথাটি অস্বীকার করেন।
তবে বেশীর ভাগ স্বর্ন ব্যবসায়ী,শান্ত ও বিল্লাল শেখের আচরনে ক্ষিপ্ত,তারা বলেন প্রায়সই তারা দু ভাই পাশবর্তী ব্যবসায়ীদের সাথে অহেতুক বিবাদে লিপ্ত হন।
এছাড়া স্বর্ণ বিতানের সত্বাধিকারী জামিল আহমেদ বাদী হয়ে আহত শান্ত ও বিল্লালের বিরুদ্ধে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ মোস্তফা ফুলমিয়া বলেন, ঘটনার সময় আমি তো দোকানে ছিলাম না। তবে শুনেছি শান্ত ও বিল্লাল উত্তেজিত হয়ে কাস্টমার ডেকে নেয়াকে কেন্দ্র করে স্বর্ণ বিতান মার্কেটের দারোয়ানকে মারধর করে। পরে ব্যবসায়ীরা তাদেরকে চড় থাপ্পর মেরে সেখান থেকে তারিয়ে দেন। তবে আমাদের জুয়েলার্স সমিতির একাধিক সদস্য তাদের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন।