পাবনায় গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলীকে হত্যার হুমকি : ঠিকাদারসহ গ্রেফতার ২ জন
1 min read
ক্ষুদিরাম : সরকারি ঠিকাদারি কাজে অনৈতিক সুযোগ সুবিধা ও অবৈধভাবে না পেয়ে পাবনা গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর রুমে ঢুকে নির্বাহী প্রকৌশলীকে ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি-ধামকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় মামলার পর দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১১ মে) সকালে তাদেরকে পাবনা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত বুধবার (৮ মে) দুপুরে পাবনা গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর রুমে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পাবনা পৌর এলাকার চক গোবিন্দার চাঁদমারি এলাকার জামাল উদ্দিন তোতনের ছেলে ঠিকাদার রোকনুজ্জামান তুষার ও কালাচাঁদপাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে মো. আকাশ। অন্য পলাতক আসামিরা হলেন- পাবনা পৌর এলাকার চকছাতিয়ানির মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে রাজিবুল হাসান রাজিব এবং কৃষ্ণপুরে মৃত মোহন বিশ্বাসের ছেলে রনা বিশ্বাসসহ অজ্ঞাত ১৪-১৫ জন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (৮ মে) পাবনা গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমের রুমে মিটিং করতে ছিলেন পাবনা গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা। দুপুর একটার দিকে হঠাৎ করে রাজিব ও তুষারের নেতৃত্বে ১৪-১৫ জন সেই রুমে প্রবেশ করে গণপূর্তের বিভিন্ন ঠিকাদারি কাজ নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে এবং অনৈতিকভাবে বিভিন্ন ঠিকাদারি কাজ দাবি করেন। দাবি না মানায় নির্বাহী প্রকৌশলীকে গালিগালাজ ও মারধরের চেষ্টা করেন। এসময় অন্যান্য প্রকৌশলীরা বাঁধা দিলে তাদের সবাইকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যান। এঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। পরে শুক্রবার (১০ মে) রাতে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিম বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। রাতেই মামলার পরপরই তাদের অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।
এবিষয়ে আরও জানতে যোগাযোগ করা হলে পাবনা গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও মামলার বাদী আনোয়ারুল আজিম বলেন, ‘তারা ঠিকাদার (রাজি-তুষার), ঠিকাদারি কাজ করেন। সেদিন যা ঘটেছিল তা থানায় দেয়া এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এই বাইরে কিছু নেই।’
এব্যাপারে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, অভিযোগের পর মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার পরপরই অভিযান চালিয়ে রোকনুজ্জামান তুষার ও মো. আকাশকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযান অব্যাহত রয়েছে, বাকিদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।