প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় পাবনায় নারী খামারীদের ব্যয় সাশ্রয়ী গো-খাদ্য তৈরির উপর প্রশিক্ষণ দিয়েছে জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন
1 min read
আবুল কালাম : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় গ্রামীণ নারীদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে গো-খাদ্যের খরচ কমাতে ব্যয় সাশ্রয়ী গো-খাদ্য তৈরির উপর বে-সরকারী উন্নয়ন সংস্থা পিকেএসএফ এর সহায়তায় এবং জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পাবনার সদর উপজেলার টেবুনিয়া বাড়ইপাড়া গ্রামে বৃহস্পতিবার সকালে নারীদের জন্য প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এলাকার ২৫ জন নারী খামারী এতে অংশ গ্রহন করেন।
জাগরণী চক্র ফউন্ডেশণের পাবনা জেলার জোনাল ম্যানেজার জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে ও প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাইদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হুসাইন।
প্রশিক্ষণে জেসিএফ এর সমন্বিত কৃষি ইউনিটের আওতায় জেসিএফ’র প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাইদুল ইসলাম খামারীদের ব্যয় সাশ্রয়ী গো-খাদ্য তৈরি করে দেখান।তিনি বলেন, তাদের এই পদ্ধতিতে গো-খাদ্য তৈরি করলে শতকরা ২০ ভাগ খরচ কমে যাবে এবং লালনকৃত পশু পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার পোবে। তাতে খামারীরা বেশ উপকৃত হবেন।
প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহনকারী মাজেদা বেগম জানান, তারা গ্রামের মানুষ। তাই অনেক কিছু বুঝে না বুঝেই গরু বাছুর, ছাগল লালন পালন করে আসছিলাম। কিন্তু বর্তমানে জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের সদস্য হয়ে বুঝতে ও শিখতে পারলাম কিভাবে সহজ পদ্ধতিতে গরু পালন করা যায়।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ঈশ্বরদী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হুসাইন বলেন, পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও পশু পালনে দিনদিন এগিয়ে যাচ্ছে। সঠিক প্রশিক্ষণ দিলে তারাও আদর্শ খামারী হয়ে দেশের পুষ্টি ও আর্থিক খাতকে সমৃদ্ধ করবে।
জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের জোনাল ম্যানেজার বলেন, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা জাগরণী চক্র দেশের অসহায় দরিদ্র কর্মক্ষম মানুষের পাশে থেকে কাজ করে থাকে। এরই লক্ষ্যে তারা নারী সমাজকে আরো এগিয়ে নিতেই এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। তারা কৃষি, মৎস্য, স্বাস্থ্য ও আর্থিক খাত নিয়ে মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
প্রশিক্ষণে কিভাবে স্বল্প খরচে পুষ্টি সমৃদ্ধ গো-খাদ্য তৈরি করা যায় তা শিখতে পারায় অংশ গ্রহনকারীরা বেশ খুশি। আগামীতে আরো বেশি বেশি করে এরকম প্রশিক্ষণেরও দাবী জানান এলাকাবাসি।