অসময়ে গ্রীষ্মকালীণ তরমুজ আবাদ করে লাভবান পাবনার কৃষক নিলুফা-রেজাউল দম্প
1 min readক্ষুদিরাম : অসময়ে থোকায় থোকায় মাচার নেটে ঝুলছে গ্রীষ্মকালীন রসালো ফল ব্ল্যাকবেবী জাতের তরমুজ। যা দেখে ছোটবড় সব বয়সের মানুষকেই আকৃষ্ট করেছ। অল্প সময় ও কম খরচে এই জাতের তরমুজ আবাদ করে বেশি লাভ করে সাড়া ফেলেছেন পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার কৃষক নিলুফা-রেজাউল দম্পতি। বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থাদের প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠিান পিকেএসএফ’র সহযোগিতায় ও জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষকতাশ পাবনার কৃষকেরা এসব আবাদ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পাবনার আটঘরিয়া, ঈশ্বরদী ও সদর উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী ও পরিবারে পুষ্টির চাহিদা পুরণ করার লক্ষ্যে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা পিকেএসএফ’র সহযোগিতায় জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের সার্বিক তত্বাবধানে আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষকদের সার্বক্ষনিক সহযোগিতা করে আসছেন।সংস্থার পক্ষ থেকে কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ, সার, নেটসহ আর্থিক সহযোগিতা এবং সার্বক্ষণিক টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেয়া হয়ে থাকে । অসময়ের এই ব্ল্যাকবেবী তরমুজ আবাদ করতে বিঘা প্রতি ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ হলেও লাভ হয় প্রায় ২ লাখ টাকার মত। আড়াই মাসের এই রসালো ফল আবাদে লাভ বেশী হওয়ায় খুশি এখানকার কৃষকেরা। পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার হারুলপাড়া গ্রামের কৃষক রেজাউল করিম বাচ্চু ও তার স্ত্রী নিলুফা এই জাতের তরমুজ আবাদ করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন। তারা জানান, এই জাতের তরমুজ আবাদ করে তারা বেশ লাভবান হয়েছেন। জাগরণী চক্র সংস্থার স্যারদের পরামর্শে তারা এ আবাদ করেছেন। তাদেরকে ধন্যবাদ দেন তারা।
এলাকার লতিফ, ময়েজ, মিজান, হাশেম, আজিজল জানান, এর আগে কোনোদিন এই জাতের তরমুজ আবাদ করি নাই। তবে এবার আবাদ করে বেশ লাভবান হচ্ছি। অসময়ে হওয়ায় বাজারে চাহিদাও ভালো। আশাকরি আগামীতে আরো বেশি জমিতে আবাদ করবো।
জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের কৃষিবিদ আব্দুল মজিদ সম্রাট জানান, গ্রামাঞ্চলেে দুস্থ কৃষকদের আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে এবং তাদের পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মেটাতেই তাদের সংস্থার পক্ষ থেকে এমন উদ্যােগ। আশাকরি গ্রামের মানুষ উপকৃত হচ্ছেন।
জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের পাবনার জোনাল ম্যানেজার জয়নাল আবেদীন জানান, পিকেএসএফ এর সহযোগিতায় জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন বাংলার অসহায় মানুষের স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি, মৎস্য ঋন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। সমাজের পিছিয়ে পড়া অসহায় দুস্থ বেকার যুবকদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদেরকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা হচ্ছে।
পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ির উপপরিচালক ড. জামাল উদ্দিন জানান, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন যে কাজগুলো করছেন তা প্রশংসার দাবীদার। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলো এমনই কাজ করতে হবে। তাহলে দেশ ও জাতি আরো এগিয়ে যাবে। বারোমাসি তরমুজ একটা লাভজনক ফসল।