পাবনায় রোগীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে চিকিৎসক ও ক্লিনিক মালিক কারাগারে !
1 min readক্ষুদিরাম : পাবনা মধ্য শহরে নিউ মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামের একটি বে-সরকারী স্বাস্থ্য ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা এক নারী রোগীকে চেকআপের সময় যৌন হয়রানির অভিযোগে ডা. শোভন কুমার সরকার ও ক্লিনিকের মালিকের জীবন আলী কে আটক করেছে পুলিশ। পরে তাদের আদালতে হাজির করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
রবিবার (৭ জুলাই) দুপুরে পাবনার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কামাল হোসেন তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অভিযুক্তরা হলেন- শালগাড়িয়ার নিউ মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ও পাবনা শহরের শালগাড়িয়া ইংলিশ রোডের মৃত ফরমান আলীর ছেলে জীবন আলী এবং অভিযুক্ত চিকিৎসক শহরের শালগাড়িয়ার স্বর্গীয় সুবোদ সরকারের ছেলে ডা. সোভন কুমার সরকার।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) জুলফিকার হায়দার এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, দুপুরে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আটককৃতদের হাজির করা হলে আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
এর আগে শনিবার (৬ জুলাই) বিকেলে পাবনা সদর থানার পাশে অবস্থিত নিউ মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে তাদের আটক করে পাবনা সদর থানা পুলিশ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে ওই নারী তার স্বামীর সঙ্গে নিউ মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে যান। ওই নারীকে নির্ধারিত কক্ষে নিয়ে নারী সহকারীকে দিয়ে তলপেটে জেল মেখে প্রস্তুত করা হয়। এসময় কৌশলে ওই নারী সহকারীকে বাহিরে পাঠিয়ে রোগীর যৌনাঙ্গে হাত দিয়ে যৌন উত্তেজনা মুলক কথাবার্তা বলেন। সঙ্গে সঙ্গে রোগী বাহিরে এসে বিষয়টি তার স্বামীকে জানালে সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। এসময় রোগী ও তার স্বামীকে বিষয়টি নিয়ে আর বাড়াবাড়ি না করার জন্য হুমকি ধামকি দেওয়া হয়। পরে ভুক্তভোগীরা থানা পুলিশের আশ্রয় নেন।
পাবনা সদর থানার ইনপেক্টর (ওসি-তদন্ত) শহীদুল ইসলাম জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়েছিল। পরে তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।