Runner Protidin

সত্য প্রকাশে অবিচল

পাবনায় যৌন হয়রানির অভিযোগ করা নারী একজন মানসিক রোগী !

1 min read

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনায় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করা সেই নারী একজন মানসিক রোগী। মানসিক রোগীর মিথ্যা যৌন হয়রানির অভিযোগে কারাগারে আছেন চিকিৎসক শোভন ও ক্লিনিক মালিক। এমনই পাল্টা অভিযোগ করেছেন চিকিৎসকের স্ত্রী।

পাবনা মানসিক হাসপাতালে সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায় ঘটনার দিন দুপুরের পর পাবনা মানসিক হাসপাতালে ভর্তি হন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা নারী। এর আগে ২০১৮ সালের ২২ মার্চ এই রোগী পাবনা মানসিক হাসপাতালে পেইন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে ছাড়পত্র নেন ২০১৮ সালের ৫ জুলাই।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবনা মানসিক হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো: এহিয়া কামাল জানান গত ৬ জুলাই এই রোগী পাবনা মানসিক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মহিলা ১৪ নং ওয়ার্ডে রয়েছে। এর আগেও এই রোগী ২০১৮ সালের ২২ মার্চ পাবনা মানসিক হাসপাতালে পেইন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হলে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয় ২০১৮ সালের ৫ জুলাই।

যৌন হয়রানির অভিযোগ অভিযুক্ত করা ডা: সোভন কুমার সরকারের স্ত্রী উপমা সরকার বলেন তার স্বামীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগকারী নারী একজন মানসিক রোগী, তার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন, তিনি স্বামীর দ্রুত মুক্তি দাবি করেছেন।

উল্লেখ্য পাবনায় নারী রোগীকে চেকআপের সময় যৌন হয়রানির অভিযোগে আটক নিউ মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক ও মালিকের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান আদালত।

রোববার (৭ জুলাই) দুপুরে পাবনার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কামাল হোসেন তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন নিউ মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক পাবনা শহরের শালগাড়িয়া ইংলিশ রোডের মৃত ফরমান আলীর ছেলে জীবন আলী এবং অভিযুক্ত চিকিৎসক শহরের শালগাড়িয়া মৃত সুবোদ কুমার সরকারের ছেলে ডা. সোভন কুমার সরকার।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) জুলফিকার হায়দার এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, দুপুরে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছিল। এ সময় তাদের জামিন আবেদন করা হলে আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *