পাবনা জেলা স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পেটানোর অভিযোগ
1 min readপাবনা প্রতিনিধি : মোবাইলে চ্যাটিং, সিগারেট ও গাঁজা খাওয়াকে কেন্দ্র করে পাবনা জেলা স্কুলের ৭ম শ্রেণির কতিপয় শিক্ষার্থীরা একই প্রতিষ্ঠানের ৬ষ্ঠ শ্রেণির বেশকিছু শিক্ষার্থীদের পিটিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার দুপুর পৌনে তিনটার দিকে বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে।
শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থীরা জানায়, বেশ কিছুদিন ধরেই জেলা স্কুলের সিনিয়র ও জুনিয়র শিক্ষার্থীদের মধ্যে মোবাইলে চ্যাটিং, বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে র্যাগিং, বিশৃংখল পরিবেশ তৈরী, শিক্ষার্থীদের মারধর ও বিদ্যালয় কক্ষ এবং টয়লেটে সিগারেট ও গাঁজা সেবন নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই জের ধরে মঙ্গলবার টিফিনের শেষ মুর্হুতে ৭ম শ্রেণির ঘ শাখার বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ৬ষ্ঠ শ্রেণির ঘ শাখার শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করে কমপক্ষে ১০/১৫ জন ছেলেকে ব্লেট ও হাত দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। মুহুর্তের মধ্যে বিষয়টি বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ছড়িয়ে পড়ে। ভয়ে ও আতংকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা দ্বিগি¦দিক ছুটাছুটি শুরু করে। কেউ কেউ ভয়ে স্কুল থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে যায়।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘটনাটি জানার পরপর ঘটনা অনুসন্ধান করে এই ঘটনার সাথে নেতৃত্ব দেয়া ৪/৫ জনকে সনাক্ত করা হয়। সনাক্ত করা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের স্কুলে ডেকে আনা হয়। দীর্ঘসময় বৈঠক করে পরবর্তীতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা এ ধরণের ঘটনা আর ঘটাবে না মর্মে মুচলেকা দেয়ায় তাদের অভিভাবকের কাছে দিয়ে দেয়া হয়।
একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরেই পাবনা জেলা স্কুলে শিক্ষার্থীরা একে অপরকে মারধর, বকাবাজি, বিশৃংখল পরিবেশ তৈরী, শ্রেণি কক্ষে সিগারেট ও গাঁজা সেবনসহ নানা বিশৃংখলা তৈরী করে আসছিল। একটি শিশু কিশোর গ্যাং বিদ্যালয় প্রশাসন দমনে বারবার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে আসছে। এ ধরণের ঘটনা বন্ধে এবং বিদ্যালয়ের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করেছেন।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তুষার কুমার দাস বলেন, ক্লাস ৭ম এর ঘ শাখার ৫ টি ছেলের নেতৃত্বে বেশ কিছু ছেলে ক্লাস ৬ষ্ঠ শ্রেণির ঘ শাখার ১০/১৫ জন ছেলেকে মোবাইলে চ্যাটিং নিয়ে দ্বন্দ্বে মারধর করেছে। আমি ঘটনাটি জানার পর নেতৃত্বে থাকা ৪/৫ জন ছাত্রকে সনাক্ত করে তাদের অভিভাবকদের খবর দেই। তারা আসার পর আলোচনা সাপেক্ষে মুচলেকা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়ে সতর্কতা প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদক সেবন, র্যাগিংসহ নানা ঘটনার বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তুষার কুমার দাস বলেন, আমি সোয়া বছর এখানে যোগদান করেছি। আমি যোগদানের পর এমন অভিযোগ শুনেছি। প্রতিহত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি ব্যর্থ হলে অবশ্যই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ নিবো।